







নিজস্ব প্রতিবেদন:-মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত 16 নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ গুলিকে পুনরায় খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই মতো জোরকদমে চলছে অফলাইনে ক্লাস কর্ম। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পরে অনলাইনে ক্লাস কর্ম করতে হয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে।




কিন্তু অনেকেই সেই জায়গাতে এসে পৌঁছাতে পারেনি বিশেষ করে গ্রাম বাংলার ছেলেমেয়েরা অনলাইনে ক্লাস করার থেকে বঞ্চিত ছিল এতদিন পর্যন্ত। তাই সাধারণ অভিভাবকদের মনে প্রশ্ন ছিল যে কবে থেকে পুরোদমে অফলাইনে ক্লাস কর্ম শুরু হবে এবার সেই তথ্য জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার ।।




প্রথমদিকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুল এবং অন্যান্য কলেজ গুলিকে খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ।এবার প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস শুরু হতে চলেছে । একে অমিক্রণ চোখ রাঙাচ্ছেতার ওপরেই নতুনভাবে স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা করছেন পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তর ।




যার ফলে কিছুটা হলেও চিন্তিত রয়েছেন অভিভাবকেরা ।কিন্তু এখনো পর্যন্ত সংক্রমণ যেহেতু অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং কমেছে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার তাই আগামী দিনে স্কুল কলেজ খোলার পক্ষপাতিত্ব করেছে অনেকে ।যদি এখনই স্কুল না খোলা হয় পূর্ণদমে তাহলে আগামী দিনে আরো বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে বলে অনুমান করছে অনেকেই ।




ওমিক্রন সংক্রমণ শুরু হলে ফের থমকে যেতে পারে পঠন পাঠন এমনই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সেটা সম্ভবত হবে না। কারণ শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্যের সর্বত্র প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির পর্যন্ত ক্লাস শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতি বেশিদিন চললে ক্ষতি হবে আরও।




তাই জানুয়ারি মাস থেকেই সব শ্রেণির পঠন পাঠন শুরু করে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। শিক্ষা দফতরের জানিয়েছে এই নিয়ে তারা পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে।স্কুল খুললে কীভাবে পড়াশোনা এগোনো হবে।




তাঁরা জানিয়েছেন স্কুল খুললেই পড়ুয়াদের আগের দুই ক্লাসের পড়া ঝালিয়ে নেওয়া হবে৷ অর্থাৎ অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের প্রথম একশো দিন ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির পাঠক্রম পড়ানো হবে৷ এর জন্য আলাদা বই দেওয়া হবে৷ একশো দিন পর হবে পরীক্ষা৷ তার পর যে ক্লাসে তারা পড়ে সেই ক্লাসের সিলেবাস দেওয়া হবে৷ এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে অনেকেই ।











