







নিজস্ব প্রতিবেদন :-এই গল্প হার মানাবে সিনেমার গল্পকেও বাস্তবে এমন ঘটনা দেখা যেতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছে অভিনেতা নিজে। একসময় চরম অভাব এর মধ্যে দিয়ে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু মনে মনে স্বপ্ন বুনে ছিলেন একজন সফল অভিনেতা হিসেবে নিজেকে দেখতে চাই। তাই পড়াশোনা শেষ করার পাশাপাশি থিয়েটারে প্রেমে পড়ে এই অভিনেতা। কিন্তু সেখান থেকে কতটুকু রোজকার হতো?




তাতে কোনো রকম ভাবে সংসার চালানো সম্ভব হতো না। তাই অন্য এক পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন অভিনেতা । কোন কাজই ছোট নয় এবং কোন কাজে যে লজ্জা থাকা উচিত নয় সেটা এই বাস্তবের মাটিতে গভীরভাবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই অভিনেতা নিজে।




বারবার মন থেকে চেয়েছেন যেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে একটা পাকাপোক্ত জায়গা হোক । কিন্তু গডফাদার ছিল না । যার ফলে সময় লাগছিল প্রচুর পরিমাণে । এমতাবস্থায় কিভাবে সময় কাটবে বা সংসার চলবে তা ভেবে কূলকিনারা পারছেন না বাংলার বিখ্যাত অভিনেতা পার্থসারথি । একদম ঠিক শুনেছেন যাকে আমরা বিভিন্ন চরিত্রে মূলত কমেডিয়ান চরিত্রে অভিনয় করতে দেখতে পাই ।




সংসারের খরচ চালাতে এবং নিজেকে ও নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে রাত থাকতে না থাকতেই ট্রেন ধরে বেরিয়ে পড়তেন কলকাতার উদ্দেশ্যে । হাটে বাজারে বিক্রি করতেন মেয়েদের নাইটি চুড়িদার । কিন্তু ইচ্ছে কখনো কমে যায়নি বরং যতই সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাকে ততই বেড়ে চলেছে অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছে । মনের মধ্যে গেঁথে যাচ্ছে সেই ইচ্ছে শক্তি । অবশেষে তিনি এখন এই বাংলার একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হতে পেরেছেন যেটা তিনি ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখেছিলেন ।




দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে সেই ঘটনা সবার সামনে তুলে ধরেন পার্থসারথি। আগরতলা থেকে কলকাতা নিয়মিত যাতায়াত করতেন । কখনো কখনো রাত্রে বাড়ি ফিরতে পারতেন না থেকে যেতেন বন্ধুর বাড়িতে। ঠিক এতটা কত পরিশ্রম করার পর আজ তিনি এই জায়গাতে এসে পৌঁছেছে প্রায় ৫০ টিরও বেশি ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছে এবং দর্শকদের মনে গভিরভাবে দাগ কেটে গেছে।




পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছে তার কোনো আক্ষেপ নেই ভবিষ্যতে যদি আরো ভালো চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান তিনি অবশ্যই করবেন নিজের কাজ অত্যন্ত বেশি ভালবাসে তার জন্য এই বাংলা দর্শকদের কাছে খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি ।জিৎ দেব অঙ্কুশ অভিনেতা-অভিনেত্রী নেই যাতে তিনি অভিনয় করেন নি ।











