







নিজস্ব প্রতিবেদন :-শাক সবজি থেকে শুরু করে ফলমূল সকলেই সবকিছু কিন্তু আমাদের শরীরে যাবতীয় উপকার করে থাকে । তার পাশাপাশি অপকার করে । যদি অতিরিক্ত মাত্রায় সেই সমস্ত জিনিস গুলো প্রতিনিয়ত খাওয়া হয় । কিন্তু সেই বিষয়ে আমাদের কোনো রকম কোনো জ্ঞান থাকেনা । তাই আমরা সেই সমস্ত জিনিস গুলো প্রতিনিয়ত শরীরের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে থাকে যার ফলে একাধিক রোগ সৃষ্টি হয় ।




পুই শাক এমন এক ধরনের শাক যা ভারতবর্ষে ব্যবহৃত ।। সে যে কোন পদ রান্না করার জন্য পুঁইশাকের ব্যবহার অনেকেই করে থাকেন । কিন্তু এই পুঁইশাক যদি অতিরিক্ত মাত্রায় তাহলে কিন্তু আপনার শরীরে যাবতীয় রোগ দেখা দিতে পারে তার পাশাপাশি এর উপকার অবশ্যই রয়েছে।




পুঁইশাকে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এর মাত্রা কম থাকায় ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটি একটি উৎকৃষ্ট খাবার। তাছাড়াও পুঁইশাক গ্রহণের ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক থাকেএবং রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় । লুটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পুঁইশাক চোখের নানা সমস্যা থেকে সুরক্ষা প্রদান করে । এছাড়া ওজন বৃদ্ধি করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ভেতর থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য পুঁইশাক অত্যন্ত উপকারী।




এছাড়া পুঁইশাকে বিদ্যমান ভিটামিন,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, ফলিক এসিড ইত্যাদি পুষ্টিগুণ হৃদপিণ্ডের জন্য খুব উপকারী। এই উপাদানগুলো শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ধমনীতে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল জমতে বাঁধা দান করে।গবেষকরা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমাতে পুঁইশাক খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।




তবে পুঁইশাকের অপকারিতা কিছু রয়েছে।যাদের এর্লাজির সমস্য রয়েছে তারা বেশি পরিমানে এই শাক খেলে এর্লাজির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।পুঁইশাক অক্সালেটস সমৃদ্ধ, এটি গ্রহণ করলে আমাদের শরীরের তরল পদার্থে অক্সালেটস এর পরিমাণ বেড়ে যায় এবং এর ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। পুঁইশাকে পিউরিন নামক উপাদান রয়েছে যা অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে শরীরে ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে গেঁটেবাত,কিডনীতে পাথর ইত্যাদি রোগ হতে পারে। কিডনি এবং পিত্তথলির বিভিন্ন সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের অবশ্যই পুঁইশাক খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।











