







নিজস্ব প্রতিবেদন:বাংলা চলচ্চিত্র জগতের বিতর্কিত অভিনেত্রী হিসেবে প্রথমেই আসে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এর নাম।পেশাগত জীবন থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন সব জায়গাতেই সমালোচনার মুখে রয়েছেন অভিনেত্রী। প্রথমবার পরিচালক রাজীব কুমার বিশ্বাসের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।




এই সম্পর্ক থেকে অভিমুন্য নামে একটি পুত্রকে জন্ম দেওয়ার পর পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগে তাদের বিবাহ বি-চ্ছে-দ হয়ে যায়।২০১৬ সালে দ্বিতীয়বার মডেল কৃষন ব্রজকে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী। কিন্তু সেই সম্পর্ককেও অভিনেত্রী বেশিদিন টিকিয়ে রাখতে পারেননি। পরপর দুইবার বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পরেও তৃতীয়বার ২০১৯ সালে রোশন সিংকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।




রোশনকে বিয়ে করার কিছুদিন জমিয়ে সংসার করতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। শ্রাবন্তীর ছেলে অভিমন্যুর সঙ্গেও রোশনের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো ছিল। কিন্তু এত সব কিছুর পরেও হঠাৎ করে তাদের সম্পর্কে চিড় ধরতে দেখা যায়। এমতাবস্তায় খবর সামনে আসে যে গত বছর দুর্গা পুজোর সময় থেকেই বাড়ির ছাদ আলাদা হয়ে গিয়েছে তাদের।বাইপাসের ধারে একটি ফ্ল্যাটে ছেলে অভিমন্যু ওরফে ঝিনুককে নিয়ে একাই বসবাস করছেন শ্রাবন্তী।




সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃতীয় স্বামী রোশনকে আনফলো করার পাশাপাশি নিজের নামের পাশ থেকে সিং পদবিটিও সরিয়ে ফেলেছেন অভিনেত্রী।যদিও এখনো পর্যন্ত নিজের বি-চ্ছে-দ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি অভিনেত্রী।তবে বারংবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তার স্বামী রোশন সিংকে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করতে দেখা যায়। এক ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে রোশন শ্রাবন্তীর সঙ্গে তার সম্পর্ককে অতীত সম্পর্ক বলে মন্তব্য করেছিলেন।




পাশাপাশি খুব শীঘ্রই এই সম্পর্ক থেকে তিনি বেরিয়ে আসবেন বলেও জানিয়েছিলেন।কিন্তু বর্তমানে আবারও পুরনো সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন,শ্রাবন্তীর সঙ্গে পুরনো তিক্ততা ভুলে সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদালতে আর্জি দাখিল করেছেন রোশন।




অপরদিকে শ্রাবন্তী মজেছেন অন্য পুরুষে। জানা গিয়েছে বেকারির ব্যবসায়ী অভিরুপ নাগ চৌধুরীর প্রেমে পড়েছেন নায়িকা।হাজারবার নিজের এই সম্পর্ক লুকানোর চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেননি অভিনেত্রী। সম্প্রতি কিছুদিন আগেই নিজের সম্পর্কের এক মাস উপলক্ষে পার্টি করেছিলেন তিনি। এরপর দিন কয়েক আগেই পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন তারা।অর্থাৎ তৃতীয় স্বামীকে ছেড়ে বেশ সুখেই রয়েছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।











