







নিজস্ব প্রতিবেদন:সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে রানু মন্ডল কে চেনেন না এরকম মানুষ খুব কমই আছেন। রানাঘাট স্টেশনের ভিখারিনী থেকে আচমকাই বলিউড জগতে উঠে এসেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের কাছে একটি উল্লেখযোগ্য হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে প্রতিনিয়ত নানান ধরনের ভিডিও ভাইরাল হতে থাকে যা আমাদের মনকে আনন্দ দেয়। আবার কিছু ভিডিও রয়েছে যা আমাদের মনকে ভারাক্রান্ত করে তোলে। বিশেষজ্ঞদের মতে সোশ্যাল মিডিয়া সবসময় নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে ব্যবহার করা উচিত। না হলে নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।




সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বর্তমান সময়ে শিশুদের মধ্যে নানান ধরনের অবসাদজনিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা সেই বহু বিতর্কিত রানুদি কে নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। রানাঘাট স্টেশন থেকে ভিক্ষা করতেন তিনি। নিজের গানের গলার কারণে সবাই পছন্দ করত তাকে। তবে রানাঘাট স্টেশনে সেই গান তাকে খাবার জোগাড় করে দিতে পারেনি। ফলস্বরূপ ভিক্ষা করেই দিন গুজরান হত তার।




এরপর একদিন ইঞ্জিনিয়ার যুবক অতীন্দ্র চক্রবর্তীর নজরে চলে আসেন রানুদি। অতীন্দ্র রানুদির একটি গানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেন। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই সেই গান প্রচুর পরিমাণে ভাইরাল হয়ে ওঠে।এরপর শেষ পর্যন্ত বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার সাথে গান রেকর্ড করার সুযোগ পান রানু মন্ডল। এক কথায় সোশ্যাল মিডিয়ার সাহা্য্যে সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে যায় রানুর জীবন।




সম্প্রতি আরেকবার ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে গান গাইলেন রানু মন্ডল। এরপর রানু মন্ডল জানান, কিশোরকুমার থেকে শুরু করে তৎকালীন নামজাদা শিল্পীদের গান রেডিও কিংবা টেপ রেকর্ডারে শুনে তিনি গান শিখেছেন। যদিও বর্তমানে অহংকার এর কারণে রানু মন্ডল এর পতন ঘটে গিয়েছে। তবুও তার জনপ্রিয়তা সম্পূর্ণরূপে কমে যায়নি।তার গান শেখার জন্য কোন গুরু ছিল না। ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাওয়া সেই তেরি মেরি গানটি আবারো গাইলেন রানু মন্ডল। ভাইরাল এই ভিডিওটি দেখে সকলে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন।











