







নিজস্ব প্রতিবেদন:-অবশেষে দীর্ঘ আট মাস পর এই যাত্রা সমাপ্তি ঘটল।। নিজের প্রতিভাকে আত্মপ্রকাশ অন্যতম প্রধান প্ল্যাটফর্ম ছিল ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১২ । গানের জগতের সমস্ত গায়ক-গায়িকা প্রতিযোগীর একটা স্বপ্নের মঞ্চ হচ্ছে এটি । সারেগামাপা যেমন বাংলার একটি বিখ্যাত মঞ্চ ঠিক তেমনি হিন্দি গানের জন্য একটি বিখ্যাত মঞ্চ হচ্ছে ইন্ডিয়ান আইডল । দীর্ঘ আট মাস ধরে এই ইন্ডিয়ান আইডল এ প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্য করা গেছে তবে সেদিন শেষ মুকুট জিতল পবন দ্বীপ রাজন ।




হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা এই পবন তার নিজের সুরেলা কন্ঠে রীতিমতো খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন দর্শকদের কাছে । তার প্রতিটি ভাবনাচিন্তা তিনি তাঁর গানের মাধ্যমে প্রকাশ করার চেষ্টা করতেন । যার ফলে তার গান অন্যান্য সকল প্রতিযোগী তুলনায় কিছুটা হলেও আলাদা । এবং প্রতিবারই মন করত দর্শকদের । কিন্তু এত সম্মান পেয়ে তিনি খুশি নন । ট্রফি জেতার সাথে সাথে ২৫ লক্ষ টাকা এবং একটি গাড়ির চাবি অর্জন করেন তিনি কিন্তু বিশেষ সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান যে তিনি মোটেও খুশি নন ।




তিনি বলেন যে ওই মুহূর্তে তিনি এত কিছু ভাবেননি। বিশেষ করে নিজের ব্যাপারে তো নয়ই। তাঁর কথায়, ‘জানতাম যেইই জিতুক ট্রফি তো জিতবে আমার কোনও না কোনও বন্ধুই। এতদিন একসঙ্গে থেকে আমরা বিরাট এক পরিবারে পরিণত হয়েছি। আমি মনে করি আমরা যাঁরা শেষমুহূর্ত পর্যন্ত লড়লাম এই খেতাবের জন্য তাঁদের মধ্যে যে কেউই বিজয়ী হতে পারত।




অর্থাৎ প্রত্যেকেই যোগ্য। তাই স্রেফ নিজের হাতে বিজয়ীর ট্রফি নিতে মনটা খুনখুঁৎ করছিল। খুব একটা খুশি হতে পারিনি।যদিও বুঝে উঠতে পারছিলাম না কী করে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলাম।’ তবে শোয়ের শেষেও যে তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে প্রত্যেকের যোগাযোগ অক্ষুণ্ন থাকবে সেকথা নিজেই জানিয়েছেন পবনদীপ। এমনকি ভবিষ্যতে তাঁরা যে একসঙ্গে কাজও করবেন বিভিন্ন প্রোজেক্ট, সেকথাও জোর গলায় জানিয়েছেন তিনি। তার প্রিয় গ্রাহক গায়ক প্রিতমের সাথে তিনি কাজ করতে চান এবং তার প্রিয় অভিনেতা সালমান খানের কোন একটি ছবিতে প্লেব্যাক সিঙ্গিং করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি ।











