









নিজস্ব প্রতিবেদন:-দীর্ঘ এই লকডাউন এর ফলে রীতিমতো থমকে গেছে আমাদের প্রত্যেকের জীবনযাত্রা । আমরা আগেরবার লকডাউন এর সময় দেখেছিলাম বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন । তার পাশাপাশি একটি সমীক্ষা বলছে এই বছর দ্বিতীয় রাউন্ডে ৯৭% শতাংশ মানুষের এর বেতন অর্ধেকের থেকে নিচে নেমে এসেছে ।





ফলে গোটা ভারতবর্ষে অভাবের চিত্রটা খুব পরিস্কার ভাবে ফুটে উঠছে প্রতিনিয়ত ।। কিন্তু যে সমস্ত মানুষরা সরকারি চাকরি করেন তাদের বেতন স্বাভাবিকভাবে প্রতি বারের মতন এক থেকে গেছে বরং বেড়েছে । ঠিক তেমনি সরকারি স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের কথা বলা যেতে পারে । যারা দীর্ঘ দেড় বছর ধরে স্কুলে না গিয়ে বাড়িতে বসে বেতন পেয়ে যাচ্ছেন সময় মতন।





আমরা দেখেছিলাম যে লকডাউনে প্রথমে যেটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সেটি হল স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কাজেই । সেই সমস্ত কলেজ স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকার দের বছর ধরে বাড়িতে বসে যায় এবং অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস করার ঠিকই কিন্তু তেমন ভাবে আর স্কুলের সাথে কোন যোগাযোগ থাকেনা । অথচ বাড়িতে বসে পর্যাপ্ত পরিমাণে বেতন পেয়েছে । কিন্তু সব মানুষ এক হয় না । কিছু কিছু মানুষের মানসিকতা ভিন্ন হয় । বসে বসে বেতন নিতে সম্মানে লাগে তাই তো সমাজের কাজে দান করে সেই টাকা । ঠিক তেমনই একটি উদাহরণ হল কেয়া দেবী।





কেয়া দেবীজলপাইগুড়ির বাসিন্দাদে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা এবং গত দেড় বছর ধরে বসে বসে বেতন নিতে তার সম্মানে লাগছিল । তাই বড় ছেলের অনুপ্রেরণাতেই সমাজসেবক একটি সংস্থাকে সেই টাকায় অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করলেন । কিন্তু সেখানেও সমস্যা হয়েছিল কিছুটা । দেখা গিয়েছিল একটি অ্যাম্বুলেন্স এর দাম ছিল ৭ লক্ষ টাকা ।





একবার এত টাকা জোগাড় করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না । তাই তিনি কিস্তির মাধ্যমে এম্বুলেন্স কিনে ফেলেন এবং সেই এনজিও বা সংস্থার হাতে তুলে দেন । যাতে সেই এলাকার মানুষজন এর কোন রকম স্বাস্থ্য চিকিৎসা সংক্রান্ত যানবাহন কোন সমস্যা না ঘটে । তাই তার এই ধরনের প্রয়াস । এই ঘটনা সম্পর্কে কি বলেন দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে বসে বসে বেতন সম্মানে লাগছিল ।





অবশেষে বড় ছেলের অনুপ্রেরণাতেই আমি আমার বেতনের কিছু অংশ থেকে এই অ্যাম্বুলেন্সটি প্রদান করলাম এলাকার মানুষের জন্য ।অ্যাম্বুল্যান্স পেয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক সুমন বসু রায় জানান, ‘কেয়া দেবী আজকে আমাদের হাতে অ্যাম্বুল্যান্স তুলে দিয়ে বড় মনের পরিচয় দিলেন। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাজে ব্যবহার করার চেষ্টা করব তাঁর এই দান’।









