











নিজস্ব প্রতিবেদন:-আমরা নিজেদের মনোরঞ্জনের জন্য সিনেমা দেখে থাকি ।। তার পাশাপাশি নিজেদের ক্লান্তি দূর করতে মাঝেমধ্যে সিনেমা দ্বারস্থ হয় ।এবং এই কথা আমরা প্রত্যেকে জানি যে একটা সিনেমা আমরা দেখতে চাই শুধুমাত্র হিরো হিরোইন কে দেখে । অর্থাৎ আমাদের পছন্দের অভিনেত্রী বা অভিনেতা যদি সেই সিনেমাতে অভিনয় করে তাহলে কিন্তু আমরা অতি অবশ্যই সেটা দেখতে চাই ।।




কিন্তু আপনাদের এটাও জানা রাখা দরকার যে একটা সিনেমা সাফল্য হয় শুধুমাত্র হিরো-হিরোইন এর মাধ্যমে নয় । তার পাশাপাশি থাকা সমস্ত চরিত্রের সমান অবদান থেকে থাকে । বিশেষ করে অবদান থেকে থাকে খল নায়ক বা ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় যারা করে ।ঠিক তেমনি টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সবথেকে জনপ্রিয় ভয়ঙ্কর খলনায়ক হলেন সুমিত গাঙ্গুলী ।।সুমিত গাঙ্গুলী ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল অভিনেতা হওয়ার এমনকি ৬ বছর বয়স থেকে তিনি থিয়েটার এর সাথে যুক্ত ছিলেন ।




একসময় তার স্কুলের শিক্ষিকা জিজ্ঞেস করেছিলেন যে বড় হয়ে তুমি কি হতে চান ।তার উত্তরে তিনি জানিয়েছিলেন যে অভিনেতা হতে চান । তখন ক্লাসের সবাই অবাক হয়েছিল এবং হাততালি দিয়েছিল । পরিচালকদের দরজায় দরজায় ঘুরে বেরিয়ে ছিলেন তিনি শুধুমাত্র হিরো হবার স্বপ্ন নিয়ে ।কিন্তু তখন পরিচালকরা তাকে বলেছিল যে নিজের মুখে একবার আয়নায় দেখে আসতে ।




এই চেহারা নিয়ে হিরো হওয়া যায় না । কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি ।।অবশেষে ১৯৯৫ সালের চিরঞ্জিত চক্রবর্তী অভিনীত কেঁচো খুঁড়তে কেউটে সিনেমা মাধ্যমে তার পতন ঘটে একজন খলনায়ক হিসেবে। ।সুমিত গাঙ্গুলী এত নিখুত অভিনয় দক্ষতা রপ্ত করেছে যে বিভিন্ন ক্লোসিং গুলি তিনি নায়িকাদের শরীর স্পর্শ না করে করে নিতে পারেন । তার পাশাপাশি তাঁর অভিনীত সবথেকে জনপ্রিয় একটি সিনেমা হলে ঘাতক ।




যেখানে বিন্দু মাসির হয়ে কাজ করতে দেখা যায় এই সুমিত গাঙ্গুলীকে । তবে তার চোখের এবং চেহারার ভঙ্গিমা দেখে অনেক বাচ্চা ছেলে মেয়েরা রীতিমত ভয় পেয়ে যায়। কখনো কখনো কাউকে আবার ইচ্ছাকৃতভাবে ভয় দেখানোর জন্য সুমিত গাঙ্গুলির নাম করা হয় । তবে ধারাবাহিক জগতে তিনি বিরোধিতা করেন । কারণ তিনি মনে করেন ধারাবাহিক গুলি জন্যই মানুষ এখন সিনেমা দেখতে আসে না ।।এখন তিনি চিত্র পরিচালনার কাজে নিযুক্ত হয়েছেন ।।











