







নিজস্ব প্রতিবেদন :- কোন অনুষ্ঠান হোক বা উৎসব হোক যে জিনিসটির উপস্থিতি আমাদের সবার নজর কাড়ে সেটি হলো হলুদ ধাতু । অর্থাৎ সোনা। একদম ঠিক শুনেছেন সোনার প্রতি আলাদা একটা মোহ মায়া থেকে থাকে প্রতিটি মানুষের । অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে অনেকেই সোনা কেনা পক্ষপাতিত্ব করেন । আবার যাদের কাছে অর্থের কোন অভাব থাকে না তারা মন মর্জি মতো যখন ইচ্ছা সোনা কিনে নেয় । কিন্তু সোনার দাম যাদের কাছে সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলে তারা হলো সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার ।




কারণ অতিরিক্ত দাম দিয়ে সোনা কেনার মতন ক্ষমতা সবসময় তাদের থাকে না । তাই তাদেরকে অপেক্ষা করতে হয় কখন সোনার দাম কমবে এবার তাদের জন্য সুখবর। আমরা দেখেছিলাম যে গতবছর লকডাউন এর সময় ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছিল সোনার দাম । যার ফলে চিন্তার ভাঁজ সৃষ্টি হয়েছিল মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষদের কপালে । কিন্তু অপরদিকে সোনা বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটে ছিল অধিক পরিমাণে । সোনার দাম বিক্রি করে তাদের অনেকটা লাভ হয়েছিল ।তবে হঠাৎ করেই রেকর্ড থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা কম কমে গেল সোনার দাম ।




কিন্তু বেড়েছে রুপোর দাম ২২ ক্যারেট ও ২৪ ক্যারেট সোনার দাম । সোনার দাম এর ব্যাপক পরিবর্তনের জন্য আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে সোনা প্রেমীদের মধ্যে । গতবছর আগস্ট মাসের সোনার দাম অর্থাৎ ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৫৬ হাজার থেকে ৫৭ হাজার এর মধ্যবর্তী কিন্তু এবার সেই দাম কমেছে ৪৬ হাজার যা ক্রেতারা কিনতে পারবে ৪৭ হাজার টাকায় । একদমই ঠিক শুনেছেন কিন্তু অন্যান্য বারের মতন রুপোর দাম কিন্তু কমেনি বরং বেড়ে গিয়ে এক কেজি রুপোর দাম । এক কেজি রুপোর দাম দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজারের কাছাকাছি। সুগন্ধা সচদেব জানিয়েছেন,




বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে সোনার দাম ঘুরে দাঁড়ানো এক অদূর ভবিষ্যৎ ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রাথমিকভাবে ৪৭,৫০০ টাকার দিকে এগিয়ে যাবে, যা পরবর্তীকালে আরো ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দাঁড়াতে পারে ৪৮,১০০ টাকায়। আবার অন্যদিকে ৪৬,৫০০ থেকে ৪৬,৩০০ টাকার সহায়তার স্তরে নেমে আসলে বিক্রির চাপ বেড়ে যাবে। যার ফলে হলুদ ধাতুর সহায়তার স্তরে ৪৫,৫০০ টাকা থেকে ৪৫,৩০০ টাকায় এসে দাঁড়াবে। তারইমধ্যে বিশ্ব বাজারে এক আউন্স সোনার দর আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১,৭৬৩.৬৩ ডলার।




তার ফলে সাড়ে চার বছরে সর্বাধিক মাসিক পতনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে হলুদ ধাতু। জুনে সোনার দাম প্রায় ৭.৫ শতাংশের মতো কমেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভের আচমকা সিদ্ধান্তের জেরে হুড়মুড়িয়ে কমেছে সোনার দাম। তার জেরে এক আউন্স সোনার দাম ১,৮০০ ডলারের নীচে নেমে গিয়েছে। চলতি মাসে ব্লুমবার্গের ডলার স্পট ইনডেক্স বেড়েছে। যা গত বছরের মার্চের পর সবথেকে বেশি উত্থান। তার ফলে অন্যান্য মুদ্রাধারীদের কাছে সোনার দাম অনেকটা বেড়েছে।এই খবর প্রকাশ উঠে আসার পর থেকেই পুরোপুরি ভিড় লেগেছে সোনার দোকানে কারণ এটাই হলো সুবর্ণ সুযোগ এবং এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে প্রত্যেক সোনা প্রেমীরা ।











