









নিজস্ব প্রতিবেদন:গৃহস্থ বাড়িতে বসবাস করলে সেখানে টিকটিকি থাকবে না এমনটা হতেই পারে না। এই প্রাণীটি অত্যন্ত নিরীহ হলেও নানানভাবে আমাদের উপদ্রব সৃষ্টি করে। মাঝেসাজেই টিকটিকির জন্য ঘর নোংরা হতে দেখা যায়। শুধুমাত্র তাই নয় এর মল অত্যন্ত বিষাক্ত।ভুল করেও যদি তা খাবারে বা অন্য কিছুতে মিশে যায় তাহলে অত্যন্ত বি-ষক্রি-য়া সৃষ্টি হতে পারে মানুষের শরীরে।





তাই অতি অবশ্যই আমাদের বাড়ি থেকে টিকটিকি দূর করার চেষ্টা করা উচিত।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা বাজারচলতি বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি যা বিশেষ কাজে আসেনা।তাই আজ আমরা টিকটিকিকে ঘর থেকে তাড়ানোর জন্য একেবারে সম্পূর্ণ ঘরোয়া উপায় আলোচনা করব।আসুন উপায় গুলি জেনে নেওয়া যাক।





টিকটিকি দূর করার ক্ষেত্রে রসুন অত্যন্ত কার্যকরী একটি বস্তু। রসুনের গন্ধ এই প্রাণীটি একেবারেই সহ্য করতে পারে না। তাই জানলা বা ভেন্টিলেটরের এক কোণে রসুন কুচি ছড়িয়ে রাখতে পারেন। দেখবেন এর ফলে আপনার বাড়িতে আর টিকটিকির উপদ্রব হবে না। দ্বিতীয় উপায় হিসেবে আমরা বলব বরফ জলের কথা।





টিকটিকি শীতল রক্তের প্রাণী হওয়ার দরুন এর গায়ে যদি আপনি কিছুটা পরিমাণ বরফ জল ছিটিয়ে দিতে পারেন তাহলে সাথে সাথেই টিকটিকি জমে যাবে। এরপর টিকটিকি কে তুলে বাইরে ফেলে দিন। টিকটিকি দূর করার জন্য আপনি ময়ূরের পালকও ব্যবহার করতে পারেন। ময়ূরের পালক টিকটিকির একেবারেই না—পসন্দ।





রসুনের মতন পেঁয়াজও টিকটিকি দূর করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।আপনার বাড়ির যেসব স্থানে টিকটিকি লুকোতে পারে সেসব জায়গাগুলিতে পেঁয়াজের খোসা বা টুকরো রেখে দেওয়ার চেষ্টা করুন। টিকটিকি দূরীকরণের জন্য আমরা সর্বশেষ পদ্ধতি হিসেবে বলবো ডিমের খোসার কথা।





ডিমের খোসার প্রয়োগ টিকটিকিকে দু-র্ব-ল করে তোলে।তাই জানলা, ভেন্টিলেটর এবং টিকটিকি লুকোনোর স্থানগুলিতে খুব সহজেই ডিমের খোসা আপনি ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই এক মাস অন্তর অন্তর এই খোসা পরিবর্তন করে দিতে ভুলবেন না। আমাদের এই প্রতিবেদনটি যদি আপনার কাজে লাগে তাহলে একটি মন্তব্য করে অবশ্যই জানাবেন।














