







নিজস্ব প্রতিবেদন:-শিক্ষাব্যবস্থার হাল এতটা নিম্নমানের বিহারে যে সেটা আপনি নিজে কল্পনাও করতে পারবেন না । অথচ সেই বিহারের মানুষেরা কিন্তু উচু মুচু চাকরিতে উঁচু উঁচু পদে বিরাজ করছে ।কিভাবে এমন টা সম্ভব সেটা নতুন করে বলার আর অপেক্ষা রাখে না।




সম্প্রতি এমনটাই জানা গিয়েছিল যে নতুন পাঠক্রম হওয়ার পর দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত খাতা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বেশকিছু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ।কিন্তু যারা এই রকম সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনা তারা কিভাবে ছাত্র-ছাত্রী মূল্যায়ন করবে সে ব্যাপারে উঠেছে গভীর প্রশ্ন।




এই মূল্যায়ন সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা জানার জন্য বেশকিছু সংবাদমাধ্যম এক শিক্ষিকা কে জিজ্ঞাসা করেন যে আপনি খাতা দেখছেন তো নতুন পাঠক্রম হওয়ার জন্য কোন অসুবিধা হচ্ছে না ? তার উত্তরে তিনি জানান যে না তার হচ্ছে না । কারণ তার এই সমস্ত বিষয় গুলো আগে থেকে পড়া ছিল ।




এরপর ওই সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞেস করেন যে আপনি কোন বিষয় এর খাতা দেখছেন ?তখন তিনি বলেন যে সোশ্যাল সাইন্স । সেই সংক্রান্ত প্রথম দিকে কিছু প্রশ্ন করা হয় তাকে । যার উত্তর দিতে পারেননি । সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞেস করেন কতগুলি মৌলিক অধিকার আছে ।তিনি সেটি বলতে পারেন নি । উপরন্তু নিজের মতন করে বানিয়ে বলছিলেন।




এ পাশাপাশি তাকে আরো কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয় যেমন সমাজ শাসন বলতে কি বোঝানো হয়? আরাস্তু কে ছিলেন? মেট্রিকে কতগুলো পূর্ণাঙ্ক হয়? কিন্তু এই প্রশ্ন গুলোর সঠিক জবাব দিতে পারেননি। অপর একজন শিক্ষিকা কে জিজ্ঞাসা করা হয় যে প্রকার সংশ্লেষ বলতে কী বোঝানো হয়? ফারমেন্টেশন কি?চিনির সংকেত কি?




গ্লুকোজের সংকেত কি? নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র কি? আলুর বোটানিক্যাল নাম কি? এই প্রশ্নের উত্তর গু-লি তিনি কোনটাই দিতে পারেননি কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিষয়ক উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করার দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছে।তাহলে একবার নিজেই ভাবো যে সেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ।











