









নিজস্ব প্রতিবেদন:-দেশের এই ভ-য়া-বহ পরিস্থিতি যখন আরও ভ-য়াব-হ হয়েছিল তখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল একাধিক গণমাধ্যম পরিষেবাগুলি । যেমন বাস-ট্রেন ট্রাম্প এমনকি বিমান ।কিন্তু পরিস্থিতি আবার পুনরায় স্বাভাবিক হতে শুরু করলে বাকি সমস্ত কিছু পরিসেবা চালু হলেও বাসের পরিষেবার তেমন ভাবে চালু হয়নি কোনদিনই । তার পাশাপাশি দ্বিতীয় ঢেউ রীতিমতো তছনছ করে দিয়েছে ভারতের জনজীবনকে । সেই অর্থে পুনরায় সেই সমস্ত পরিষেবা কে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । সেই তালিকায় নাম ছিল সরকারি এবং বেসরকারি বাসের ।যার ফলে বেসরকারি বাসের মালিকের কপালে চিন্তার ভাঁজ সৃষ্টি হয়েছিল।





একদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়া তার পাশাপাশি এই করোনা প্রভাব রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে বাস মালিকদের কে । লকডাউন আরো মেয়াদ বাড়ানো হলেও অফিস কাছারিতে ২৫% বা কোথাও কোথাও ৫০% কর্মী নিয়ে চালু করার কথা জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে অফিসে পৌঁছাবো কিসের মাধ্যমে ? অর্থাৎ যারা বাসের সাহায্য নিয়ে যেত তারা অফিসে পৌঁছে কি করে ? কারণ এখনও পর্যন্ত খোলা হয়নি বাস পরিষেবা ।





তবে পরিস্থিতি পুনরায় স্বাভাবিক করতে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সরকারি বাস চালানোর কথা জানানো হয়েছে । এর আগে সরকারি কর্মচারীদের জন্য সরকারি বাসের ব্যবস্থা ছিল । কিন্তু এবার বেসরকারি কর্মচারীদের জন্য সরকারি বাস চালানোর কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার । আগামীকাল থেকে সমস্ত ড্রাইভার কন্টাকটার ও বাকি সমস্ত কর্মীদেরকেও হাজিরা দিতে বলা হয়েছে । বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে সরকারি বাসের সংখ্যা । যার ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শিকার কম হতে হবে এমনটাই মনে করছে অনেকে ।





অপরদিকে দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ থাকার ফলে রীতিমতো উত্তপ্ত হচ্ছে বাস মালিকের মেজাজ ।এবং ক্রমশ হুশিয়ার সুরে তারা জানাচ্ছে যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যদি পরিষেবা স্বাভাবিক না করা হয় তাহলে তারা বড়োসড়ো আন্দোলনের পথে নামবে ।কারণ এমন কিছু জিনিস থাকে যেগুলো তাদেরকে বাস চালালেও দিতে হয় না চালানো দিতে হয় । সেই অর্থে প্রতিনিয়ত গুনতে হচ্ছে মোটা টাকা ।





ইএমআই ব্যাংক লোন ইত্যাদি টাকা প্রতিনিয়ত তাদের কে ভরতে হচ্ছে যা তাদের পকেট থেকে যাচ্ছে । এই সূত্রে সেই সংগঠনের নেতা রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে কঠিন এই সব পরিস্থিতিতে যাতে সকল সুবিধা হয় সেই ভাবনা চিন্তা ভাবতে হবে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে । ইতিমধ্যে আমরা রাজ্য সরকারকে এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে বহুবার আমাদের অসুবিধার কথা জানিয়েছে ।কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে কোনরকম সাহায্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন রাহুল চট্টোপাধ্যায় । যদিও রাজ্য সরকার অনেকটাই সাহায্য করেছে তাদেরকে এমনটা জানা যাচ্ছে তার থেকে । তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে কবে থেকে সম্পূর্ণ রকম ভাবে চালু হবে বাস পরিষেবা ।














