







নিজস্ব প্রতিবেদন :- এই কয়েকদিন ধরে একনাগারে একটানা বৃষ্টি হবার ফলে রীতিমতো না-জেহাল রাজ্যবাসী । এমনটা ঠিক যে বেশ কিছুদিন আগেও রাজ্য বাসীদের মনে প্রশ্ন ছিল যে বর্ষা কবে আসবে । কারণ বীভৎস পরিমাণে অস্বাতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল । তাই এমনটা ভাবনা খুব স্বাভাবিক । কিন্তু প্রবেশ করার পর বুঝতে পারলো ভ-য়ঙ্কর রূ-প ধারণ করেছে । এক নাগাড়ে একটানা বৃষ্টি পাতে রীতিমতো না-জেহাল আমাদের জনজীবন । রাস্তাঘাটে অনেক জল জমে রয়েছে এমনকি কোথাও বন্ধ হতে যানবাহন পরিষেবা।




সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন ছিল যে এই বর্ষার প্রভাব কবে কাটবে । কারণ এভাবে চলতে থাকলে প্রচন্ড সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত সবাইকে । সেই অর্থে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে এখনো বর্ষার হাত থেকে রেহাই মিলবে না । গত দু’দিন ধরে রোদের দেখা মিললেও আগামী বুধবার থেকে ফের ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে । ভাসতে চলেছে উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা । উত্তরবঙ্গের জা-রি করা হয়েছে বেশ কয়েকটি জায়গায় সতর্কবার্তা । পাহাড়ি অঞ্চলের ধস নামার কথা জানানো হয়েছে ।




জলস্তর বেড়ে যাবার কথা বলা হয়েছে। নিচু এলাকায় জলমগ্ন হবার সম্ভাবনা রয়েছে । এমনটা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। উত্তরপ্রদেশ থেকে নাগাল্যান্ড পর্যন্ত নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছে। এই অক্ষরেখা বিহার ও উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত। বিহার থেকে ওড়িশা পর্যন্ত রয়েছে উত্তর-দক্ষিণ অক্ষরেখা। এই নিম্নচাপ অক্ষরেখার জন্য প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছে। পশ্চিমবঙ্গের উপর মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার জন্য মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।




বুধবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে এবং বৃহস্পতিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম জেলায় মূলত ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। শুধুমাত্র তাই নয় বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার জন্য অস্বস্তিকর পরিবেশ এর সৃষ্টি হবে এবং দক্ষিণবঙ্গের এবং উত্তরবঙ্গের কিছু জেলা গুলির উপর সর্তকতা জারি করা হয়েছে । যেমন জলপাইগুড়ি দার্জিলিং কোচবিহার উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের বিশেষ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।











